সাখাওয়াত হোসেন, মহাস্থান(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে সোমবার বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানে মাছ বাজারে মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় মহাস্থান মৎস্য আড়ৎদার সমবায় ও বহুমুখী সমিতির উদ্যোগে এ মাছের মেলার আয়োজন করা হয়। নবান্নের কথা বলতে গেলে প্রথমে উঠে আসে অগ্রহায়ণ মাসের কথা। মনে পড়ে বাংলা উৎসবের সাথে মিশে থাকা বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতি। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায় এই নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে। অগ্রহায়ণের শুরু থেকেই আমাদের গ্রামবাংলায় চলে নানা উৎসব-আয়োজন। নতুন ধান কাটা আর সেই সাথে প্রথম ধানের অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় এই উৎসব। বাঙালিদের বিচিত্র অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হলেও নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। নবান্ন বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব। এই নবান্ন উৎসবকে বাঙ্গালীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২৬ উপলক্ষে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানহাটে বিরাট মৎস্য মেলার আয়োজন করা হয়। মহাস্থান মাছ হাটের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে আয়োজক কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হায়দার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, সহ-সভাপতি আলী হায়দার, ফিরোজ আলী, ইব্রাহীম হোসেন এর সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতি বারের তুলনায় এবার মাছের আমদানি মোটামোটা ভাল হয়েছে। আমরা মাছ বাজার সফল করতে প্রায় ১ সপ্তাহপূর্বে থেকে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছি। কিন্তু মহাস্থানের এই মাছ বাজার মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে ভটভটি সহ বেশকিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আতঙ্কে অনেক মাছের গাড়ি এই হাটে প্রবেশ করতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থানা পুলিশ ও হাট পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকেও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বলে আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ জানান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ নভেম্বর ২০১৯/ইকবাল